রূপকল্প (Vision)

বিশ্বাস ও আস্থাভাজন, যোগ্য, দক্ষ, নিবেদিত ও পেশাদার পুলিশ সদস্যগণ কর্তৃক মানসম্মত সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাসযোগ্য, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ জেলা গঠন করা।

অভিলক্ষ্য (Mission)

জনগোষ্ঠীর সক্রিয় সহযোগিতায় জেলা পুলিশ আইন প্রয়োগ,সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ ভীতি হ্রাস, জননিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ (Strategic Objectives):

১.টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের শান্তি,নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকরণ.

২.অপরাধ দমনে দ্রুততার সাথে তদন্ত সম্পাদন পূর্বক অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।

৩.জনসাধারণের জানমাল, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা।

৪.স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

৫.কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরী করে অপরাধ প্রতিরোধ করা।

৬.প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ, পেশাদার পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা।

৭.তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে অপরাধী সনাক্ত করণ ও মামলা তদন্ত করা।

৮.তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে গণমুখী পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহঃ

(১) দাপ্তরিক কর্মকান্ডে  

(২) কর্মসম্পাদনে গতিশীলতা আনয়ন ও সেবার মান বৃদ্ধি।  

(৩) আর্থিক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।

 

কার্যাবলি (Fullction)

১। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ,দুর্ঘটনায় সাড়া প্রদান,তদন্ত,ভেরিফিকেশন,জন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং আদালতে রাষ্ট্র পক্ষকে সহায়তা দান।

২। নিরাপত্তা পেট্রোল, ভিভিআইপি/ভিআইপি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তাসহ জাতীয় ও ধর্মীয় সকল অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রদান।

৩। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম, ওপেন হাউজ ডে ও অপরাধ বিরোধী জনসংযোগ সভার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি ।

৪। প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত্র মানুষের পাশে দাড়ানো।

৫। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার ও উইমেন হেল্প ডেস্ক এর মাধ্যমে নারী ও শিশুদের সেবা প্রদান।

৬। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন।

৭। ইন্টারপোল ও সার্কপোল এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সহায়তাকরণ।

৮।  মাদক বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা ।

৯। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলার ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান।

 

সাম্প্রতিক বছরসমুহের  প্রধান অর্জনসমূহঃ

 শেরপুর জেলা পুলিশ জনগণের বন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান,দেশের আইন-শঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ দমন ও নিলঙ্গে কাজ কঙ্গে থাকে। সর্বোচ্চ পেশাদারি, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে বাংলাদেশ পুলিশের দায়িত্ব পালনের কারণে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রি.তারিখে ১১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ,১১ম জাতীয় সংসদের একাধিক আসনে উপ-নির্বাচন,বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন,পরবর্তীতের একাধিক পর্যায়ে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মানবতাবিরোধী  যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকরের আগে ও পরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে।

 

সাম্প্রতিক বছরগু্লোতে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক কর্মসূচী,পেট্রোল বোমা হামলা ও সন্ত্রাস দমনে এবং দেশে নতুন নতুন জঙ্গী সংগঠনের তথ্য উদ্ঘাটন ,জঙ্গী সদস্যদের গ্রেফতার সাড়াশী অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গী কর্মকান্ড নস্যাৎ করতে জেলা পুলিশ সফল হয়েছে। বাংলাদেশে একটি জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সারা দেশে কমিউনিটি পুলিশিং বেগবান করা হয়েছে। চলমান কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশ জনগণের মিথস্ক্রিয়ার ফলে পুলিশের কাজে জনগণের আস্থা, অংশগ্রহণ, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন,অনলাইন এর মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান,অপরাধ ও অপরাধীদের দমনের লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশং এর মাধ্যমে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে সফলতা অর্জণ, থানা পর্যায়ে নিয়মিত ওপেন হাউজ ডে এবং জনগণের সমস্যাসমূহ শোনা, পুলিশী স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, প্রতিটি থানা ও পৌর এলাকায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু,স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার করা,মাদক সংক্রান্তে ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের গ্রেফতার করা,দ্বন্ধ নিরসনের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে  বিরোধ নিষ্পত্তির করা,সড়ক দূর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মালিক, চালক ও হেল্পারদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা,উইমেন সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন করা. এছাড়া থানা সমূহে নারী ও শিশু বিষয়ক ডেক্স স্থাপন করা হয়েছে।

সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সমূহঃ

তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ফলে অপরাধের ঝুঁকি সমূহ খুব দ্রুত ট্রান্সন্যাশনাল এবং আন্তর্জাতিক রূপ লাভ করেছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরনসহ বিভিন্ন মারাত্মক অপরাধসমূহ বর্তমানে সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে সংঘটিত হচ্ছে।

দ্রুত সম্প্রসারিত তথ্য সমাজে সংস্কৃতির ওপর আঘাত, আগ্রাসন, অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা ঘটছে ব্যাপক। অন্তর্ঘাত করে মানুষের মধ্যে বা সমাজে হঠাৎ ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক বিতর্ক, দ্বন্ধ উত্তেজনা সংঘাত ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সাইবার ওয়াল এর মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। আজকের অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের জন্য প্রয়োজনীয় যুগোপযোগী প্রযুক্তি, প্রশিক্ষন, দক্ষ জনবল, বিশেষজ্ঞ এবং আর্থিক ও অন্যান্য সমস্যা রয়েছে। জনগণ এবং গণমাধ্যমের সাথে পুলিশী যোগাযোগের ঘাটতি,যা পূরণের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

জেলা  পুলিশের সমস্যা ও চ্যালেসমূহের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, সেবা প্রদান ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, জঙ্গী বিরোধী পুলিশী কার্যক্রম জোরদার এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গী কার্যক্রম বিরুদ্দে  সচেতনতা বৃদ্ধি  অন্যতম। জনগণকে সেবা প্রদানের  ক্ষেত্রে পুলিশের বড় সমস্যা হলো পর্যন্ত ভাল ও লজিস্টিক সাপোর্ট। নারী ও শিশু বান্ধব  এবং জেন্ডার  সংবেদনশীল পুলিশিং কার্যক্রম সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক নারী পুলিশ নিয়োগ করা প্রয়োজন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

১.কার্যকরভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রন ও উদঘাটন করা।

২. আইনের কঠোর ও ন্যায়সংগত প্রয়োগ নিশ্চিত করা।

৩.ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার ও অনলাইন সেবার মাধ্যমে দ্রুততর এবং কার্যকরভাবে পুলিশি সেবা প্রদান।

৪.কমিউনিটিং পুলিশিং এবং বীট পুলিশিং ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে সম্প্রসারন করা।

৫. গণমাধ্যমের সাহায্যে ইতিবাচক প্রচারণা বৃদ্ধি করা। নানা ক্ষেত্রেই এডভোকেসি করা যাতে জনগনের দৃষ্টিভঙ্গি,জনমত ইতিবাচক হয়।

৬.জেলায় সাইবার ক্রাইম প্রতিহত করণ,নিয়ন্ত্রণ এবং উদঘাটনকারি ইউনিট সৃষ্টি করা।

৭. প্রতি রেঞ্জে মোবাইল ফোন ট্র্যাকার সরবরাহ করা হলে জঙ্গী, সন্ত্রাসী, অপরাধীদের অবস্থান নির্ণয়, গ্রেফতার এবং বিচারের জন্য সোর্পদ করা।

৮. ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম জোরদার এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ করা।

৯. জ্ঞানভিত্তিক দলের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্তের  মাধ্যমে অপরাধ উদ্ঘাটন করা। ১০. NID এর তথ্য ভান্ডার ব্যবহার করে অপরাধী সনাক্ত করা ও অপরাধ ভীতি হ্রাসকল্পে জনগনের  আত্তনবিশ্বাস  বৃদ্ধি করা।

১১.পুলিশের অপারেশনাল ইউনিটসমূহে AFIS এর কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা।